শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
ভারত-বাংলাদেশের চিকেন নেক ফেনিকে টার্গেটে ব্যর্থ হয়ে পাহাড়িদের মদত দিচ্ছে! লালমনিরহাটের সাবেক মেম্বার জয়নাল আবেদীন-এঁর ইন্তেকাল হাতীবান্ধা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিবকে কারণ দর্শানোর নোটিশ! আদিতমারীতে জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার এর সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে রেলওয়ে শ্রমিক কর্মচারীদের ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে র‍্যালি ও শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত কালীগঞ্জে জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার এর সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে ভুল কীটনাশক প্রয়োগে পুড়ে গেছে কৃষকের ধানক্ষেত! অধ্যক্ষ আবশ্যক এস বি এফ নার্সিং ইনিসটিটিউট, লালমনিরহাট লালমনিরহাটে কিন্ডার হিল্পস্ ওর্য়্যাক সংস্থার ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে উপবৃত্তি, খাদ্য সামগ্রী ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে ৪শত ৭৩টি পূজা মন্ডবে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে!
হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যানের দ্বন্দ্ব; পাল্টা অভিযোগে আওয়ামী লীগের সভাপতি আসামী

হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যানের দ্বন্দ্ব; পাল্টা অভিযোগে আওয়ামী লীগের সভাপতি আসামী

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুনের পকেট থেকে জোর পূর্বক ৫০হাজার টাকা বের করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মিরুর বিরুদ্ধে।

 

এ ঘটনায় হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন বাদী হয়ে গত ১৫ নভেম্বর স্থানীয় হাতীবান্ধা থানায় পাল্টা একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে দাবি করলেও হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ শাহা আলম বলছে, এ সংক্রান্ত কোন অভিযোগ তিনি পায়নি।

 

ওই অভিযোগে হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লিয়াকত হোসেন বাচ্চুকেও আসামী করা হয়েছে।

 

এছাড়া হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন নাহারের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি নিচে ফেলে দেয়ার অভিযোগও তুলেছেন হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন।

 

প্রাপ্ত অভিযোগ ও হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন জানান, গত ৭ নভেম্বর ২ ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন নাহার ও আনোয়ার হোসেন মিরু তার অফিসে গেলে তিনি এডিপি ও টিআর প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের বিষয়ে জানতে চাইলে কোন উত্তর না দিয়ে তাকে অশ্লীল ভাষায় গালি-গালাজ করেন। পরে জেসমিন নাহার নিজ অফিসে গিয়ে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি নিচে ফেলে দেয়।

 

এ ঘটনায় হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লিয়াকত হোসেন বাচ্চুসহ অন্যান্যদের ডেকে পরামর্শ করে তার অফিসে প্রবেশ করে। অফিসের চেয়ার ভাংচুর করে এবং তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের স্বামী সুলতান আহম্মেদ রাজন তার গলা চিপে ধরে। এ সময় হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মিরু তার পকেট থেকে জোর পূর্বক ৫০হাজার টাকা বের করে নেয় এমনটি জানান মশিউর রহমান মামুন।

 

এ ঘটনায় হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লিয়াকত হোসেন বাচ্চু, দুই ভাইস চেয়ারম্যানসহ ৭জনকে আসামী করে গত ১৫ নভেম্বর স্থানীয় থানায় পাল্টা একটি অভিযোগ দায়ের করেন এমন দাবী হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুনের।

 

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লিয়াকত হোসেন বাচ্চু জানান, তিনি শুনেছেন তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান। উপজেলা পরিষদের কোনো বিষয়ের সাথে তিনি জড়িত নয়, তাকে সামাজিক ভাবে হয়রানী করা উদ্দেশ্যেই উপজেলা চেয়ারম্যান নিজের দূর্নীতি ঢাকতেই তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করা হয়েছে। দুই ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন নাহার ও আনোয়ার হোসেন মিরু জানান, টিআর-কাবিখা-কাবিটাসহ নানা প্রকল্পের অনিয়মের প্রতিবাদ করায় নারী ভাইস চেয়ারম্যানকে মারধর ও তার অফিস ভাংচুর করেন চেয়ারম্যানের লোকজন।

 

হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ শাহা আলম জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান বাদী হয়ে দুই ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ পায়নি। এ সংক্রান্ত অভিযোগ যদি পাই তাহলে তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

উল্লেখ্য যে, হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন ও ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন নাহারের মধ্যে গত ৭ নভেম্বর উপজেলা পরিষদের ভিতরে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ, মারধর ও অফিস ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।

 

এ ঘটনায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন নাহারের একটি মামলায় বুধবার উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone